গুপ্তোত্তর যুগে দক্ষিণ ভারত অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

Clg history questions answers কলেজ ইতিহাস গুপ্তোত্তর যুগে দক্ষিণ ভারত অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর guptputtor juge dokkhin bharat


প্রশ্ন । পল্লব রাজবংশ কে প্রতিষ্ঠা করেন ? 

উত্তর : পল্লবরাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন শিবস্কন্দবর্মন । 

প্রশ্ন । পল্লব রাজ্যের রাজধানী কোথায় ছিল ? এই বংশের শ্রেষ্ঠরাজা কে ? 

উত্তর : পল্লব রাজ্যের রাজধানী ছিল কাঞ্জী বা কাণ্ডীনগর । পল্লব বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন প্রথম নরসিংহবর্মন । 

প্রশ্ন । পল্লবরাজবংশের স্থাপত্য ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপােষকতা সম্বন্ধে কি জান ?

উত্তর : কাঞ্জীর পল্লবরাজগণের পৃষ্ঠপােষকতায় স্থাপত্য , ভাস্কর্য ও চিত্রকলা বিশেষ উন্নতিলাভ করে । কাঞীর কৈলাসনাথের মন্দির ঐরাবতেশ্বরের মন্দির এবং মামল্লপুরম অথবা মহাবলীপুরমের রথ মন্দিরগুলাে পল্লব শিল্পের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন । পল্লবরাজগণ স্থাপত্য , ভাস্কর্য , চিত্রকলা প্রভৃতি ছাড়া ও সাহিত্য এবং সংস্কৃতির পৃষ্ঠপােষক ছিলেন । কিরাতাজুনীয়ম রচয়িতা ভারবি এবং দশকুমার চরিত্র রচয়িতা দণ্ডিন পল্লব রাজাদের পৃষ্ঠপােষকতা লাভ করেন । ‘বিচিত্র চিত্ত’ নামে পরিচিত পল্লবরাজ প্রথম মহেন্দ্রবর্মন ‘খণ্ড বিলাস’ প্রহসন রচনা করেন । 

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম অধ্যক্ষ ধর্মপাল কাঞ্জীর অধিবাসী ছিলেন । 

প্রশ্ন । পল্লবরাজবংশের কয়েকজন রাজার নাম লিখ ।  

উত্তর : শিবস্কন্দবর্মন , বিষ্ণুগােপ , প্রথম মহেন্দ্রবর্মন , প্রথম নরসিংহবর্মন , দ্বিতীয় মহেন্দ্রবর্মন , প্রথম পরমেশ্বরবর্মন , দ্বিতীয় নরসিংহবর্মন , দ্বিতীয় পরমেশ্বরবর্মন , তৃতীয় মহেন্দ্রবর্মন , প্রথম নন্দীবর্মন , দত্তিবর্মন , দ্বিতীয় নন্দীবর্মন, অপরাজিতবর্মন প্রভৃতি । 

প্রশ্ন । কোন চোলরাজ বাংলাদেশ আক্রমণ করেন ? তখন বাংলায় কে রাজত্ব করতেন ? 

উত্তর : একাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে চোলরাজ রাজেন্দ্র চোল বাংলাদেশ আক্রমণ করেন । তখন বাংলাদেশে রাজত্ব করতেন পালবংশীয় রাজা দ্বিতীয় মহীপাল । 
 
প্রশ্ন । চোলরাজবংশের প্রধান দুজন রাজার নাম লিখ । 

উত্তর : চোলরাজবংশের প্রধান দুজন রাজা হলেন প্রথম রাজরাজ চোল এবং প্রথম রাজেন্দ্র চোলদেব । 

প্রশ্ন । চোলরাজবংশের সমুদ্রপথে সাম্রাজ্য বিস্তার সম্বন্ধে কি জান ?

উত্তর : প্রাচীন তামিল সাহিত্য থেকে চোলদের সমুদ্রপথে ব্যবসাবাণিজ্য বিস্তারের কাহিনী জানা যায় । শক্তিশালী নৌবাহিনীর সাহায্যে চোলগণ ব্ৰত্মদেশ , শ্রীলঙ্কা , ভারত মহাসাগরের অন্যান্য দ্বীপসমূহ এবং মালয় উপদ্বীপের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করে । কাবেরী নদীর মােহনায় অবস্থিত কাবেরীপত্তনম ছিল চোল সাম্রাজ্যের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য বন্দর । বাণিজ্যতরী ও বাণিজ্যপথের নিরপত্তার জন্য চোলরাজগণ এক শক্তিশালী নৌবাহিনী তৈরি করেন । চোলদের সামুদ্রিক সাম্রাজ্যের পত্তন করেন । মালদ্বীপ , লাক্ষাদ্বীপ সহ ভারত মহাসাগরের বহু দ্বীপের ওপর তিনি কর্তৃত্ব স্থাপন করেন । সিংহলের উত্তরাংশও তিনি জয় করেন ।


প্রশ্ন । চোল শাসনব্যবস্থার রাজ্যকে কি কি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল ?

উত্তর : চোলদের সমগ্র রাজ্যকে বলা হত ‘চোল মণ্ডলম’ । সমগ্র রাজ্যটি মণ্ডল বা প্রদেশে বিভক্ত ছিল । বিভাগ গুলােকে বলা হত ‘কোট্টাম’ । প্রতিটি কোট্টাম কয়েকটি নাড়ু বা জেলায় বিভক্ত ছিল । জেলাগুলাে ‘কুররম’ বা গ্রামে বিভক্ত ছিল । 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন