দেশীয় রাজন্যবর্গ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

Clg history questions answers কলেজ ইতিহাস দেশীয় রাজন্যবর্গ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর deshiyo rajonnoborgo


প্রশ্ন । শুঙ্গবংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন ? কিভাবে ও কখন তিনি ক্ষমতায় আসেন ? 

উত্তর : পুষ্যপুত্র শুঙ্গবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন । তিনি ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শেষ মৌর্য সম্রাট বৃহদ্রথকে হত্যা করে মৌর্য সাম্রাজ্যের অবসান ঘটান ও ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন । 


প্রশ্ন । অগ্নিমিত্র সম্বন্ধে কি জান ? 

উত্তর : শেষ মৌর্যসম্রাট বৃহদ্রথকে হত্যা করে তার প্রধান মন্ত্রী পুষ্যমিত্র শুঙ্গ মগধের সিংহাসন অধিকার করেন । পিতা পুষ্যমিত্রের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র অগ্নিমিত্র মগধের সিংহাসনে আরােহন করেন । কিন্তু আটবছর রাজত্ব করার পর ( ১৪৮-১৪০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ ) তিনি স্বেচ্ছায় সিংহাসন ত্যাগ করেন । তিনি মহাকবি কালিদাস রচিত ‘মালবিকাগ্নিমিত্রম’ নাটকের নায়ক । 

  
প্রশ্ন । শুঙ্গ বংশের শেষ রাজা কে ছিলেন ? শুঙ্গরাজবংশের পতনের পর কারা মগধের সিংহাসন অধিকার করেন ? 

উত্তর : শুঙ্গরাজবংশের শেষ রাজা ছিলেন দেবভূতি । ষড়যন্ত্রের দ্বারা তাকে হত্যা করে তার মন্ত্রী বাসুদেব মগধের সিংহাসনে কান্ববংশের প্রতিষ্ঠা করেন । 

প্রশ্ন । সাতবাহন রাজবংশ কে প্রতিষ্ঠা করেন ? 

উত্তর : পুরাণের বিবরণ অনুসারে সাতবাহন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সিমুক । তিনি কান্ববংশের বিলােপসাধন করে সাতবাহন রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন রাজত্বের শেষ দিকে অত্যাচারী হয়ে ওঠার ফলে তিনি সিংহাসনচ্যুত ও নিহত হন । 

প্রশ্ন । কোন্ রাজবংশকে অন্ত্ৰভৃত্য , অন্ধভৃত্য বা অন্ত্রক বলা হয় ?। 

উত্তর : সাতবাহন রাজবংশকে অন্ধভৃত্য , অভৃত্য  বা অন্ত্র বলা হত । 

প্রশ্ন । সাতবাহন রাজ্য কোথায় গড়ে ওঠেছিল ? এর রাজধানী কোথায় ছিল ?

উত্তর : সাতবাহন রাজবংশের প্রতিষ্ঠিত সিমুক গােদাবরী ও কৃষ্ণানদীর অন্তর্বর্তী অঞ্চলে সাতবাহন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন । এই রাজ্যের রাজধানী ছিল প্রতিষ্ঠান ( পৈঠান ) । 

প্রশ্ন । সাতবাহন বংশের কয়েকজন রাজার নাম লিখ । 

উত্তর : সিমুক , কৃষ্ণ , প্রথম সাতকনি , গৌতমীপুত্র সাতকনি বশিষ্ঠীপুত্র শ্রীপুলমায়ী , হাল,দ্বিতীয় পুলমায়ী প্রমুখ সাতবাহন বংশের রাজা ছিলেন । 


প্রশ্ন । গৌতমীপুত্র সাতকর্নি সম্বন্ধে কি জান ? 

উত্তর : গৌতমীপুত্র সাতকনি ছিলেন সাতবাহন বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা সাতবাহন বংশের এক চরম সঙ্কটকালে তিনি সিংহাসনে আরােহন করে সাতবাহন সাব্বাহনদের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করেন এবং রাজ্যজয়ের দ্বারা সাম্রাজ্যের বিস্তার সাধন করেন । কেবল মাত্র রণকৌশলী যােদ্ধা নয় — সুশাসক , সমাজ সংস্কারক এবং প্রজাহিতৈষণার জন্যও তিনি খ্যাতি অর্জন করেন । নাসিক প্রশস্তিতে গৌতমীপুত্র সাতকর্নির কীর্তিকাহিনী বর্ণিত হয়েছে ।


প্রশ্ন । গাথা সপ্তশতীর রচয়িতা হাল কোন বংশের রাজা ছিলেন ?

উত্তর : গাথা সপ্তশতীর রচয়িত হাল সাতবাহন বংশের রাজা ছিলেন । 


প্রশ্ন । কুষান কাদের বলা হয় ?

উত্তর : কুষানগণ চীনদেশে বসবাসকারী ‘ইউ -চি’ নামক যাযাবর জাতির একটি শাখা । ভাগ্যান্বেষণে অগ্রসর হতে হতে ইউ -চি জাতি ভারতের সীমান্তে এসে উপস্থিত হয় । ইউ -চি জাতি এই সময় পাঁচটি শাখায় বিভক্ত হয়ে নানা দিকে ছড়িয়ে পড়ে । ধীরে ধীরে ইউ - চি জাতির কুষান শাখা অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে ওঠে ।


প্রশ্ন । ভারতে কুষান সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে ? এই বংশের শ্রেষ্ঠ রাজার নাম লিখ ? 

উত্তর : কুজুল কদফিসেস বা প্রথম কদফিসের পুত্র দ্বিতীয় কদফিসেস বা বিম কফিসেস ছিলেন ভারতে কুষান সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা । এই বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন কনিষ্ক । 


প্রশ্ন । অজন্তাগুহা শিল্প সম্বন্ধে কি জান ?

উত্তর : বর্তমান মহারাষ্ট্রের অন্তর্গত প্রাচীন বৌদ্ধযুগের শিল্পকলার নিদর্শন সম্বলিত কয়েকটি গুহা অজন্তা নামে পরিচিত । চীনদেশীয় পরিব্রাজক হিউ - এন -সাঙ এর ভ্রমণ কাহিনীতে অজন্তা  শিল্পকলার উল্লেখ দেখা যায় । পাহাড়ের গায়ে মােট ত্রিশটি গুহায় অজন্তার শিল্পকলা খ্রিস্টীয় অব্দের পূর্ব থেকে খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দী পর্যন্ত অঙ্কিত হয় । অজন্তার এই গুহাচিত্র গুলাে দুহাজার বছর পূর্বের ভারতের শিল্পোৎকর্ষের চরম নিদর্শন । বিভিন্ন সময়ে অঙ্কিত হলেও অজন্তার গুহাচিত্রে গুপ্তযুগের শিল্পকলার বৈশিষ্ট্য বিশেষভাবে পরিস্ফুট । 

প্রশ্ন । সম্রাট কনিষ্কের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি কি ? 

উত্তর : সম্রাট কনিষ্ক ভারতবর্ষের বাইরে বৌদ্ধধর্ম বিস্তারের ব্যাপারে সর্বাপেক্ষা কৃতিত্বের পরিচয় দেন ।

প্রশ্ন । অশ্বঘােষ কে ছিলেন ?

উত্তর : অশ্বঘােষ ছিলেন সম্রাট কনিষ্কের সমকালীন সংস্কৃতজ্ঞ মহাপন্ডিত । সম্ভবত খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর সূচনায় অযােধ্যার নিকটবর্তী সাকেত নামক স্থানে তার জন্ম হয় । ব্রাক্ষ্মণ পরিবারে তার জন্ম হলেও পরে তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন । তাঁর রচিত কাব্য , নাটক ও অন্যান্য গ্রন্থ তৎকালীন সংস্কৃত সাহিত্যের আদর্শ নির্ণয় করে । বুদ্ধচরিত অশ্বঘােষের শ্রেষ্ঠ রচনা । সূত্রালঙ্কার ,বজ্ৰসূচী প্রভৃতি তার অন্যান্য রচনা । 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন