প্রাচীন ভারতীয় সমাজে নারীর স্থান কি ছিল ।

অনাস পাস ইতিহাস honours pass general history questions answers প্রশ্নোত্তর প্রাচীন ভারতীয় সমাজে নারীর স্থান কি ছিল prachin bharotiyo somaje narir sthan ki chilo questions answers


উত্তর : ঋকবৈদিকযুগে নারীর স্থান : আর্য সমাজ পিতৃতান্ত্রিক ছিল সুতরাং সকলেই কামনা করত । কিন্তু সেজন্য কন্যাকেও অবহেলা করা হত না এবং ঋকবৈদিক যুগে নারীরা সমাজে একটি বিশেষ সম্মানের স্থান অধিকার করতেন সে যুগে নারী ও পুরুষের মধ্যে সামাজিক অধিকারের ব্যাপারে কোন পার্থক্য করা হত না । পুরুষদের মধ্যে নীরাও উপযুক্ত ভাবে শিক্ষালাভের সুযােগ পেতেন । ব্রাত্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য এই তিনবর্ণের নারীরা বেদ অধ্যয়নের অধিকার ভােগ করতেন । এবং তারা অধ্যাপনার কাজও করতেন । ঋকবেদে অনেক মন্ত্র রচয়িতা নারীর নাম পাওয়া যায় । তাদের মধ্যে লােপামুদ্রা, পৌলােমী , কাক্ষীবতী , ঘােষা, , জয়িতা প্রভৃতির নাম উল্লেখযােগ্য । 


মেয়েরা বয়স্কা হলে তাদের বিয়ে দেওয়া হত । সমাজে বাল্যবিবাহের প্রচলন ছিল না । পিতাই সাধারণত পুত্র কন্যাদের বিবাহের ব্যবস্থা করতেন । সেযুগে আর্যগণ বিবাহকে স্ত্রী পুরুষের অত্যন্ত পবিত্র সম্পর্ক বলে মনে করতেন । অবিবাহিত পুরুষের যাগ - যজ্ঞে অধিকার ছিল না , বিবাহিত ব্যক্তিরা পত্নীকে সঙ্গে করে যাগ -যজ্ঞ নিষ্পন্ন করত । ঋকবেদের যুগে পুরুষদের একাধিক বিবাহের প্রথা প্রচলিত ছিল । সেই যুগে নারীদেরও একাধিক বিবাহ এবং বিধবা বিবাহ একেবারে অপ্রচলিত ছিল না । 



ঋকবৈদিক যুগে মেয়েদের জন্য কোন পর্দা প্রথার প্রচলন ছিল না । কিন্তু আইনের চোখে তারা সমান অধিকার ভােগ করতে না এবং এই ক্ষেত্রে তাদের পুরুষ আত্মীয়ের ওপর নির্ভর করতে হত । ঋকবেদের যুগে সতীদাহ প্রথা প্রচলিত ছিল কিনা , সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায় না । তবে এই প্রথা প্রচলিত থাকলেও তা রাজাদের পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল । 


( ২ ) পরবর্তী বৈদিক যুগে পরিবর্তন : পরবর্তী বৈদিকযুগে আর্যদের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ধর্মীয় জীবনের মতাে সামাজিক জীবনেও অনেক পরিবর্তন দেখা দেয় । ঋকবৈদিকযুগে স্ত্রীজাতির যে স্বাধীনতা ও মর্যাদা ছিল পরবর্তী যুগে তা যথেষ্ট হ্রাস পায় । কন্যা সন্তান পিতা মাতার নিকট অবাঞ্ছিত হয়ে পড়েন । পুরুষের বহু বিবাহ প্রথা বহুলভাবে প্রচলিত হয় । অপর দিকে নারীরা সম্পত্তির অধিকার , ধর্মাচরণের অধিকার , উপনয়নের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন । তবে অনেক নারী এই যুগেও বিদ্যার্জন ও নৃত্য-গীত চর্চার ক্ষেত্রে প্রতিভার পরিচয় দেন । এই যুগে বিদুষী নারীদের মধ্যে গার্গী , মৈত্রেয়ী প্রভৃতির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য । 




( ৩ ) মহাকাব্যের যুগে নারীদের অবস্থান : রামায়ণ ও মহাভারতে বহুসংখ্যক নারী চরিত্রের সাক্ষাৎ পাওয়া যায় যাদের উদারতা মহানুভবতা , তেজস্বিতা প্রভৃতির জন্য তাদের পৃথিবীর যে কোন দেশের যে কোন যুগের নারী সমাজের সর্বোচ্চ গৌরবের অধিকারিনী বলে আখ্যা দেওয়া যেতে পারে । সংকীর্ণমনা , কোপন স্বভাবা, স্বার্থান্বেষী নারী চরিত্রের সন্ধান এই দুই মহাকাব্যে দেখা গেলেও মহীয়সী নারীদের তুলনায় তাদের সবদিক থেকেই তাদের খুব ম্লান মনে হয় । মহাকাব্যের যুগে নারীরা বিদ্যাভ্যাস ও জ্ঞানার্জনের যে সুযােগ পেতেন কৌশল্যা , কৈকেয়া , সীতা , গান্ধারী, কুন্তী , দ্রৌপদী ,সাবিত্রী , দময়ন্তী , প্রভৃতির কথাবার্তা , বিভিন্ন যুক্তি প্রদর্শন ও কার্যকলাপের মধ্যে শিক্ষার প্রভাব লক্ষ্য করা যায় । তবে মহাকাব্যের কবিদ্বয় সমাজে নারীর জন্য উচ্চস্থান নির্দিষ্ট করলেও তাদের স্বাতন্ত্র্য স্বীকার করেননি । মহাভারতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে ,নারীরা বাল্যে পিতার , যৌবনে স্বামীর এবং বার্ধক্যে পুত্রের অধীন । সংক্ষেপে বলা যায় যে মহাকাব্যের যুগে পরিবারে ও সমাজে নারী উচ্চস্থান থাকলেও তার কোন স্বাতন্ত্র স্বীকৃত হয় নি । 


( 8 ) বৌদ্ধযুগে নারীদের অবস্থা : পরবর্তী বৈদিকযুগের শেষের দিকে ধর্মশাস্ত্রকারদের  প্রতিপত্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নারীদের অবস্থার আরও অবনতি ঘটে । কিন্তু গৌতম বুদ্ধের আমলে নারীরা পুণরায় সামাজিক মর্যাদা লাভ করার সুযােগ পান । প্রকৃতপক্ষে বৌদ্ধধর্মের উত্থান ভারতের নারী সমাজের কাছে একটি নতুন দিগন্ত উন্মােচিত করে । অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে নারীরাই প্রথম বুদ্ধদেবের মতবাদের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার ফলে তাদের স্বামীরাও এই মতে বিশ্বাসী হয়ে উঠতে শুরু করেন । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে বৎস মহাজনপদের রাজধানী কোশাম্বীতে বুদ্ধদেব প্রবেশ করার পরও রাজা উদয়ন নতুন প্রচারিত এই ধর্মের প্রতি কোন আকর্ষণ অনুভব করেননি । কিন্তু তার রানী সামাবতী গৌতম বুদ্ধের ভক্তে পরিণত হন এবং শেষ পর্যন্ত তার প্রভাবে রাজা উদয়ন বুদ্ধের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন । 


কিন্তু গৌতম বুদ্ধ তাঁর নতুন মতবাদ প্রচার করার প্রথম দিকে নারীদের বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত করা পক্ষপাতী ছিলেন না । পরে তাঁর শিষ্য আনন্দ এবং ধাত্রীমাতা গৌতমীর অনুরােধে সর্বপ্রথম সন্ন্যাসিনীদের জন্য সঙ্ঘ স্থাপন করতে সম্মত হন । নারীদের বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত করার পর ভিক্ষুনীদের জন্য আলাদা মঠ নির্মাণ করার প্রয়ােজন দেখা দেয় । তবে নারীদের ভিক্ষুনী জীবন গ্রহণ করার সুযােগ , বিদ্যাচর্চার সুব্যবস্থা, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ভিক্ষুদের মতাে তাদের সমান গণতান্ত্রিক অধিকার দেওয়া হলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে তাদের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরােপ করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ।ভিক্ষুনীদের মঠের জন্য যে স্বতন্ত্র সংবিধান তৈরি করা হয় সেখানেও দেখা যায় যে ,অনেক বিষয়ে নারীদের স্বাতন্ত্র স্বীকৃত হলেও ব্রাত্মণ্য ধর্মশাস্ত্রকারদের নির্দেশিত কোন কোন গণ্ডী অতিক্রম করা বৌদ্ধশাস্ত্রকারদের পক্ষেও অতিক্রম করা হয়নি । ধর্মশাস্ত্রকরগণ নারীদের শিশুকালে পিতার , যৌবনে ভর্তার এবং বাধৰ্কে পুত্রের অধীন বলে ঘােষণা করেছিলেন । বৌদ্ধ শাস্ত্রগণ তার পরিবর্তে ভিক্ষুনীদের দায়িত্ব ভিক্ষুদের ওপর অর্পণ করেন । তবে একথা ঠিক যে , বৌদ্ধযুগে নারীরা যে নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে মহিমান্বিত হয়ে উঠতে পারতেন , তার সঙ্গে তুলনীয় খুব কম কাহিনী ব্রাত্মণ্য সাহিত্যে পাওয়া যায় । বৌদ্ধধর্ম এক দিকে যে শাস্ত্রীয় বাধা-নিষেধ লঙ্ঘন করে ব্যাক্তি স্বাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার সুযােগ এনে দেয় সেই ব্যক্তি স্বাতন্ত্রের স্পর্শ নারীদের জীবনেও গভীর প্রভাব বিস্তার করে । গতানুগতিক সংসার - জীবনযাপনের বাইরেও যে একটা বিরাট বিশ্ব রয়েছে এবং সেখানে নারীদের যে একটা বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করার সুযােগ আছে , পালি সাহিত্যই তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে । 


( ৫ ) মৌর্যযুগের সমাজে নারীর স্থান : মৌর্যযুগে নারী তার কর্মপ্রতিভা ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহুলাংশে অক্ষুন্ন রাখতে সমর্থ হন । বিভিন্ন ধর্মশাস্ত্র নারীর অধিকার বহুলাংশে খর্ব করলেও বাস্তব ক্ষেত্রে তারা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে থাকেন । উচ্চবর্ণের নারীদের মধ্যে কেউ কেউ আজীবন ব্রম্মচর্য পালন করে বিদ্যার্জন করতেন । তবে বিবাহিতা নারীরা সাধারণত সুখে ও শান্তিতে সংসার জীবনযাপন করাই পছন্দ করতেন । সমাজে বহু বিবাহ প্রথা প্রচলিত থাকলেও বিধবা বিবাহ প্রথা জনপ্রিয় ছিল না । বিধবা নারীরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পবিত্র জীবন যাপন করার চেষ্টা করতেন । অশােকের অনুশাসনে নারীদের মধ্যে অবরােধ প্রথার উল্লেখ পাওয়া যায় । তাদের জন্য অন্তঃপুরে স্বতন্ত্র স্থান নির্দিষ্ট থাকত । নারীর প্রতি দুর্বব্যহার করা হলে শাস্তি প্রদান করা হত । মৌর্যযুগে সম্রাটের দেহরক্ষী হিসাবে নারীদের নিযুক্ত করা হত । গুপ্তচর হিসাবেও নারীদের নিযুক্ত করা হত । পারিবারিক জীবনে স্ত্রী স্বামীর ধর্মকার্যে সঙ্গিনী হতেন । বিবাহের সময় নারী যৌতুক হিসাবে যা লাভ করতেন তা স্ত্রীধন হিসাবে স্বীকৃত হত । স্ত্রীধনের ওপর স্বামীর কোনরূপ অধিকার থাকত না । 



( ৬ ) কুষাণযুগে সমাজে নারীর স্থান : কুষাণযুগে সমাজে নারীর স্থান যথেষ্ট মর্যাদাপূর্ণ ছিল । বিশেষত বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সমাজে নারীদের অবস্থা যথেষ্ট উন্নতি ঘটে । তবে আইনের চোখে এই যুগেও সমাজে নারীর স্থান ছিল পুরুষের পরে । উচ্চ শ্রেণীর নারীদের অবশ্য জ্ঞানার্জনের সুযােগ ছিল । এই যুগে সাধারণত পুরুষদের একটিই স্ত্রী থাকতেন, তবে রাজা ও ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে বহু বিবাহের প্রচলনও ছিল । 



( ৭ ) সাতবাহনযুগের নারীর সামাজিক স্থান : সতাবাহনযুগের সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ বিষয় ছিল পরিবারের কাঠামাে । বৈদিক সমাজে পরিবারে মাতার অপেক্ষা পিতা ছিলেন বেশি গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু সাতবাহনযুগে পরিবারগুলাে মাতৃতান্ত্রিক ছিল বলে অনেকে মনে করেন । সাতবাহন রাজারা মাতার নামে নিজেদের নাম রাখতেন । উদাহরণ স্বরূপ গৌতমীপুত্র সাতকণি , বশিষ্ঠপুত্র পুলমায়ি প্রভৃতির নাম উল্লেখ করা যায় । তবে তা সত্ত্বেও বলা যায় যে, সাতবাহনরাজাদের আমলে সমাজ ছিল পুরুষতান্ত্রিক । সিংহাসনের উত্তরাধিকারীরা সকলেই ছিলেন পুরুষ এবং রাজকর্মচারীরা ও ছিলেন পুরুষ । তাছাড়া রাজা হালের সপ্তশতী গাথার যে সামজিক চিত্র পাওয়া যায় তাতে নারীরা যে বিশেষ অধিকার ভােগ করতেন তা মনে হয় না । 


( ৮ ) গুপ্তযুগে সমাজে নারীর স্থান : গুপ্তযুগের সমাজে নারীর স্থান উচ্চ ছিল বলে মনে হয় । গুপ্তযুগের সাহিত্য ও বিভিন্ন লিপিতে এর পরিচয় পাওয়া যায় । এমনকি কোন কোন অঞ্চলে নারীরা শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করতেন । উদাহরণ হিসাবে গুপ্তবংশীয় সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের কন্যা প্রভাবতীগুপ্তের নাম করা যায় । তিনি বকাটক রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন । উচ্চবর্ণের ও ধনীদের মেয়েরা লেখাপড়া করার সুযােগ পেতেন । বাৎসায়নের ‘কামসূত্র’ গ্রন্থে মেয়েদের শিক্ষা সম্বন্ধে অনেক তথ্য পাওয়া যায় । আদর্শ পত্নীর কর্তব্যও সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন । গুপ্তযুগের সাহিত্য এবং অন্যান্য গ্রন্থে যেমন শিক্ষার্থিনীর কথা আছে তেমনই শিক্ষিকা ও আচার্যাদেরও উল্লেখ আছে । 



তবে কিছু সংখ্যক ঐতিহাসিক মনে করেন যে গুপ্তযুগে নারীদের যে আদর্শ চিত্র পাওয়া যায় বাস্তবে কিন্তু তা ছিল না । নারীদের মধ্যে শিক্ষার সুযােগ খুবই সীমিত ছিল । নারীদের মধ্যে কুসংস্কার দৃঢ়ভাবে স্থান পেয়েছিল । সতীদাহ এই যুগেই বহুল প্রচলিত হয় । বৌদ্ধযুগে যেসব মেয়েরা বৌদ্ধ সঙ্ঘে যােগ দিত তারা কিছুটা স্বাধীনতা ভােগ করতেন । যারা গণিকাবৃত্তি গ্রহণ করত তারাও স্বাধীন ছিলেন । গুপ্তযুগে যেহেতু নগরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং নাগরিক জীবন ছিল বিলাসবহুল , সেজন্য নাগরিক জীবনের একটি বৈশিষ্ট্য ছিল গণিকা প্রথা । গণিকাদের মধ্যে আবার শ্রেণী বিভাগ ছিল । ধনী এবং গুণী গণিকার নাগরিক সমাজে খ্যাতি ও মর্যাদা ছিল । বাৎসায়নের ‘কামসূত্রে’ গণিকাদের শিক্ষা-দীক্ষার বিস্তৃত বিবরণ পাওয়া যায় । চৌষট্টি কলা তাদের আয়ত্ত করতে হত । রাষ্ট্রই গণিকা বৃত্তিকে রক্ষণা বেক্ষণ করত । তবে সমাজে গণিকাদেরও সম্মান ছিল । শূদ্রক রচিত ‘মৃচ্ছকটিক’ নাটকে বসন্তসেনা নামে একজন গুণী ও শিক্ষিতা গণিকা ছিলেন । তিনি ব্রাত্মণ চারুদত্তকে বিবাহ করে নতুন ভাবে জীবনযাপন শুরু করেন । 
 

( ৮ ) গুপ্তোত্তর যুগে সমাজে নারীর স্থান : গুপ্তোত্তর যুগে ধীরে ধীরে ভারতের রাজনৈতিক ঐক্য বিনষ্ট হয় । বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাধীন সর্বভৌম রাজ্য গড়ে উঠতে শুরু করে । তাছাড়া ভারতের রাজনীতিতে বৈদেশিক জাতিগুলাের কর্তৃত্ব ও বৃদ্ধি পেতে থাকে । রাজনৈতিক ক্ষেত্রের পরিবর্তন ভারতীয় সমাজের ওপর গভীর প্রভাব বিস্তার করে এবং যার ফলে নারীদের অবস্থার ক্রমেই অবনতি ঘটতে থাকে । 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন