ত্রিপুরি কংগ্রেস ( ১৯৩৯ ) গুরুত্ব কী ছিল ?

Clg history questions answers কলেজ প্রশ্নোত্তর ত্রিপুরি কংগ্রেস ১৯৩৯ গুরুত্ব কী ছিল tripura congress ১৯৩৯ gurutto ki chilo


উত্তর : ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম যুবনেতা ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু । অসহযােগ আন্দোলনের সময় তিনি গণসংগঠনের কাজে বিশেষ কৃতিত্ব দেখান । সুভাষচন্দ্র বসু সমাজতন্ত্রী মতাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং দাবি করেন যে রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আবশ্যিক । 

জাতীয় আন্দোলন পরিচালনার প্রশ্নে গান্ধীজির সাথে সুভাষচন্দ্রের কিছু নীতিগত মতবিরােধ ছিল । বামপন্থী চিন্তাধারা ও বিপ্লবী মানসিকতার জন্য তিনি যুবসমাজের কাছে বিশেষ জনপ্রিয় ছিলেন । ১৯৩৮ খ্রিঃ হরিপুরা কংগ্রেসে তিনি সভাপতি মনােনীত হন । এই নির্বাচনে কংগ্রেসের দক্ষিণপন্থীরা অসন্তুষ্ট হন । পরের বছর ত্রিপুরি অধিবেশনেও ( ১৯৩৯ ) সুভাষচন্দ্র পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন । এখানে তিনি গান্ধীজির মনােনীত প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে পরাজিত করে সবাইকে বিস্মিত করেন । এই ঘটনা গান্ধীজি ও দক্ষিণপন্থীরা ক্ষুব্ধ হন । 

শেষপর্যন্ত দক্ষিণপন্থীদের চাপে সুভাষচন্দ্র সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন । অতঃপর তিনি ‘ফরােয়ার্ড ব্লক’ নামে একটি দল গঠন করেন এবং কংগ্রেস ত্যাগ করতে বাধ্য হন । 

ত্রিপুরি কংগ্রেসের পর কংগ্রেসে দক্ষিণপন্থীরা ক্ষমতাশালী হন বামপন্থীদের অনেকে কমিউনিস্ট দলের প্রতি আকৃষ্ট হন । সুভাষচন্দ্র বসু বিদেশি শক্তির সাহায্যে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পরিকল্পনা করেন ।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন