উত্তর : (১ ) গৌতম বুদ্ধ : হিমালয়ের পাদদেশে নেপালের তরাই অঞ্চলে কপিলাবস্তু নামে শাক্য বংশীয় ক্ষত্রিয়দের একটি ক্ষুদ্রগণতান্ত্রিক রাজ্য ছিল । বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক সিদ্ধার্থ বা গৌতম ছিলেন এই রাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধান শুদ্ধোধনের পুত্র । আনুমানিক ৫৬৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন । বাল্যকাল থেকেই গৌতম সংসারের প্রতি উদাসীন ছিলেন । সংসারের প্রতি গৌতমের আকর্ষণ বৃদ্ধি করার জন্য রাজা শুদ্ধোধন গােপা বা যশােধরা নামে এক সুন্দরী কন্যার সঙ্গে পুত্রের বিবাহ দেন । কয়েক বছর পরে গৌতমের পুত্র বাহুল জন্মগ্রহণ করে । কিন্তু রাজপ্রাসাদের বিলাস বহুল জীবন যাত্রা গৌতমকে আকর্ষণ করতে পারেনি । জরা , মৃত্যু, রােগ , পার্থিব দুঃখ কষ্টের হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করা যায় এই প্রশ্ন তাকে ব্যাকুল করে তােলে । অবশেষে এই সব প্রশ্নের উত্তর লাভের আশায় একদিন গভীর রাতে গােপনে তিনি সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন । বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসে এই ঘটনা মহাভিনিষ্কমণ নামে পরিচিত ।
গৃহত্যাগের পর গৌতম বিভিন্ন সন্ন্যাসীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে সত্যের সন্ধানে ব্রতী হন । নানাভাবে যােগাভ্যাস , কৃচ্ছসাধন প্রভৃতি প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করেও তিনি অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে ব্যর্থ হন । ফলে ব্রাত্মণ্য ধর্মের নীরস আচার অনুষ্ঠানের প্রতি তিনি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওঠেন । পরিশেষে তিনি গয়ার নিকট ধ্যানে নিমগ্ন হন এখানেই তিনি বােধি বা দিব্যজ্ঞান লাভ করেন । দিব্যজ্ঞান লাভ করার পর তিনি বুদ্ধ অর্থাৎ পরমজ্ঞানী বা তথাগত নামে পরিচিত হন । পরমজ্ঞান লাভ করার পর গৌতমবুদ্ধ বারানসীর নিকট সারনাথে এসে তার নতুন ধর্মপ্রচারে ব্রতী হন । সেখানে ‘পঞভিক্ষু ’ নামে পরিচিত শিষ্যদের তিনি উপদেশ বিতরণ করেন । এই ঘটনা বৌদ্ধ ইতিহাসে ‘ধর্মচক্র প্রবর্তন’ নামে খ্যাতিলাভ করে । এই সময় তিনি যে মহান সত্য প্রচার করেন তা ‘চতুরার্যসত্য’ নামে পরিচিত । আর্যসত্য হল সত্যে উপনীত হওয়ার এবং চরম আনন্দলাভের বাস্তবানুগ পন্থা । চারটি আর্যসত্য হল ( ক ) জগতে দুঃখ কষ্ট আছে ( খ ) দুঃখ কষ্টের কারণ আছে (গ ) দুঃখের নিবৃত্তি আছে এবং ( ঘ ) নিবৃত্তির পথ আছে ।
সারনাথে ধর্মপ্রচারের পর দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে বিহার ও অযােধ্যায় গৌতম বুদ্ধ তার বাণী প্রচার করেন । তিনি ‘সঙ্ঘ’ নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে তার ধর্মপ্রচারকে সংগঠিত রূপ দেন । অবশেষে ৮০ বছর বয়সে আনুমানিক ৪৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি গােরক্ষপুরের নিকট কুশীনগরে দেহরক্ষা করেন । বৌদ্ধ ইতিহাসে এইঘটনা মহাপরিনির্বাণ নামে অভিহিত হয় ।
( ২ ) বৌদ্ধধর্মমত : বৈদিক যাগযজ্ঞে ধর্মীয় ক্রিয়াকাণ্ডে বুদ্ধদেবের কোন আস্থা ছিল না । তিনি ঈশ্বর, আত্মার স্বরূপ, দেবদেবী প্রভৃতি সম্পর্কে কোন আলােচনা করেন নি । কিন্তু সংসারের দুঃখ কষ্ট থেকে মানুষ কি করে মুক্তি পেতে পারে তাই ছিল বুদ্ধদেবের প্রধান লক্ষ্য । তার মতে অজ্ঞতা ও আসক্তি মানুষের দুঃখ কষ্টের মূল কারণ । অজ্ঞতা বা জ্ঞানের অভাবের জন্য পার্থিব বস্তুর ওপর আসক্তির ফলে মানুষের দুঃখ কষ্টের শেষ হয় না ।
কিন্তু বুদ্ধদেব হিন্দুদের মতাে কর্মফলবাদ ও জন্মান্তর বাদে বিশ্বাস করতেন । তাঁর মতে মানুষ নিজ নিজ কর্মফল অনুসারে জন্মগ্রহণ করে এবং কৃতকর্মের ফল ভােগ করে । সুতরাং নির্বাণ লাভ বা পুনর্জন্ম থেকে নিষ্কৃতি পাওয়াই মানুষের প্রধান ও চরম উদ্দেশ্য হওয়া প্রয়ােজন । আত্মার মুক্তিকে তিনি নির্বাণ নামে অভিহিত করেন । সৎকার্যের দ্বারা জ্ঞান অর্জন করে আত্মার উন্নতি সাধন করলেই এই নির্বাণ লাভ করা সম্ভব ।
আসক্তির অবসান ও আত্মার উন্নতি সাধনের জন্য বুদ্ধদেব আটটি পথ বা নীতি অনুসরণ করার নির্দেশ দেন । সেগুলাে অষ্টাঙ্গিক মার্গ নামে পরিচিত । এই অষ্টাঙ্গিক মার্গ হল — সৎ সঙ্কল্প , সৎ -চেষ্টা , সৎ কর্ম , সৎ স্মৃতি , সৎ জীবন , সৎ দৃষ্টি ও সৎ ধ্যান । তাছাড়া তিনি আরও কতগুলাে নৈতিক উপদেশ দেন । সেগুলােও বৌদ্ধধর্মের অঙ্গ হিসাবে বিবেচিত হয় । হিংসা ত্যাগ করা , মিথ্যা না বলা , অর্থলিপ্সা ত্যাগ করা প্রভৃতি নীতির ওপর তিনি খুব গুরুত্ব আরােপ করেন ।
বুদ্ধদেব বেদের অপৌরুষেয়তায় বিশ্বাস করতেন না । ব্রাক্ষ্মণের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করতেন না এবং শ্রেণীভেদ মানতেন না । তিনি ছিলেন বাস্তববাদী ।এক দিকে ব্রাত্মণ্য ধর্মের আচারসর্বস্ব জটিল যাগ -যজ্ঞ, উৎসব - অনুষ্ঠানের পথ তিনি ত্যাগ করেন । অপর দিকে তিনি জৈনদের কঠোর কৃচ্ছ্রসাধনের মাঝামাঝি একটি পথ বা ‘মধ্যপন্থা’ গ্রহণ তাছাড়া বুদ্ধদেবের মতবাদের একটি সামজিক দিকও ছিল । জাতিভেদ প্রথা তিনি মানতেন না বলে ব্রাত্মণ ছাড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ে মধ্যে তার মতবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ।
( ৩ ) বৌদ্ধধর্মের জনপ্রিয়তার কারণ : বুদ্ধদেব তার ধর্মকে বহুল পরিমানে বাস্তববাদী করে তােলার চেষ্টা করে ছিলেন এবং নির্বাণ লাভের জন্য একটি মধ্যপন্থা প্রদর্শন করেছিলেন । হিন্দুদের জটিল যাগ - ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে তিনি অস্বীকার করতেন । আবার জৈনদের কঠোর কৃচ্ছসাধন ও আত্মপীড়নে তিনি বিশ্বাস করেন না । ভােগ ও কৃচ্ছসাধনের মাঝামাঝি বুদ্ধদেব কর্তৃক নির্দিষ্ট পথ জনসাধরণের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব ছিল । সংক্ষেপে বলা যায় যে বৌদ্ধধর্ম কোন নতুন ধর্ম নয় । এই মতবাদ পবিত্র জীবনধারণের প্রতি নির্দেশ মাত্র । বৌদ্ধসাহিত্যে গ্রন্থ জাতক থেকেও জানা যায় যে । বুদ্ধদেব নিজেই এই রূপ মত প্রকাশ করেছিলেন যে , ধর্ম বলতে কতকগুলাে প্রার্থনা , স্তোত্র বা আনুষ্ঠানিক ক্রিয়াকাণ্ড বুঝায় না । ধর্মপবিত্র জীবন যাপন ও জীবের মুক্তি বুঝায় । প্রকৃত পক্ষে প্রচলিত ব্রাত্মণ্য ধর্মের দোষ একটি দূর করে তিনি প্রাচীন ও মূলবৈদিক ধর্ম উদ্ধার করার চেষ্টা করেন । সেজন্য স্বামী বিবেকানন্দ বৌদ্ধ ধর্মকে হিন্দুধর্মের বিপ্লবী সন্তান বলে অভিহিত করেন । ঐতিহাসিক রিস ডেভিডস্ বুদ্ধদেবকে হিন্দুধর্মের সংস্কারক আখ্যা দেন ।
বৌদ্ধধর্মের সাফল্য ও জনপ্রিয়তার আরও কয়েকটি কারণ দেখা যায় । প্রথমত , বৈদিক ধর্মের অবনতির যুগে বুদ্ধদেব প্রচারিত বৌদ্ধধর্মে উপনিষদের সহজ ,সরল অনেক চিন্তাধারাই স্থান পায় । সহজ সরল এই চিন্তাধারার প্রতি অনেকেই আকৃষ্ট হয় । তাছাড়া প্রথমদিকে বৌদ্ধধর্ম সমস্ত রকম ব্রাত্মণ আচার অনুষ্ঠন বাদ দেয় । কিন্তু পরে শাস্ত্র বহির্ভূত অথচ জনপ্রিয় দুটি প্রথা বৃক্ষপূজা ও সমাধিস্তুপ নির্মাণ বৌদ্ধরাও গ্রহণ করলে সাধারণ মানুষের পূজাপদ্ধতির সঙ্গে বৌদ্ধধর্মের সংযােগ স্থাপিত হয় ।
দ্বিতীয়ত , ভারতের যে সমস্ত অঞ্চলে ব্রাত্মণ্য ধর্মের ভিত্তি দুর্বল ছিল , সেই সব অঞ্জলে বৌদ্ধধর্ম ব্যাপক সমর্থন লাভ করে । সেজন্য মগধে বৌদ্ধধর্ম দ্রুতসাফল্য অর্জন করে ।
তৃতীয়ত , বৌদ্ধধর্ম জাতিভেদ মানত না সকল মানুষের সমান দৃষ্টিতে দেখতে । ধর্মপ্রচারকগণ কেবল তত্ত্বকথার অবতারণ না করে সহজ সরল ও সকলের বােধগম্য পালিভাষায় উপদেশ দিত ।
চতুর্থত , বৌদ্ধধর্মে সঙ্গের স্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।ভিক্ষুকের জীবনযাত্রা ছিল সকলের আদর্শস্থানীয় । বৌদ্ধসঙ্ঘগুলাে গঠিত হত গণতান্ত্রিক আদর্শের ওপর ভিত্তি করে । তাছাড়া বৌদ্ধ সঙ্ঘগুলাের শৃঙ্খলবােধ ও সাংগঠনিক সংহতি থাকায় বৌদ্ধধর্মের জনপ্রিয়তা ও প্রসারলাভ সহজ হয়ে ওঠে । বৌদ্ধমঠ স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার প্রসারও বেড়ে যায় । কারণ শিক্ষাদান তখন আর ব্রাত্মণদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকল না । সমাজের সর্বস্তর থেকে সন্ন্যাসী গ্রহণের ফলে শিক্ষা সমাজের সবশ্রেণীর মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে । গোঁড়া ব্রাত্মণরা যেখানে মেয়েদের ক্রমশ নানা বাধা - নিষেধের মধ্যে বেঁধে ফেলেছিলেন । বৌদ্ধরা সেখানে নারী সন্ন্যাসীনীদের জন্য আলাদা মঠ স্থাপন করে স্ত্রী স্বাধীনতার এক বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিলেন ।
পঞ্চমত , অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ও শহরাঞ্চলের বিকাশ ঘটায় সমাজে বৈশ্য শ্রেণীর প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায় । বৈশ্যগণ ব্রাত্মণ ও ক্ষত্রিয়ের প্রতিপত্তি খর্ব করার উদ্দেশ্যে ব্রাত্মণ্যবাদের পালটা জবাব হিসাবে বৌদ্ধধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয় । বৈশ্য সম্প্রদায়ের সমর্থন লাভ করায় বৌদ্ধধর্ম একটি গতিশীল ধর্মে পরিণত হয় । শূদ্র সম্প্রদায়ও ব্রাত্মণ সম্প্রদায়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বৌদ্ধধর্মের আশ্রয় গ্রহণ করে ।
যষ্ঠত , ব্রাত্মণ্যধর্মের বিরুদ্ধে দেশ জোড়া অসন্তোষ ও বৌদ্ধধর্মের অন্তর্নিহিত শক্তি এই নতুন ধর্ম বিস্তারের মূল লক্ষ্য হলেও রাজন্যবর্গকে শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে তার কোন আপত্তি ছিল না । মগধের রাজা বিম্বিসার , কোশলের রাজা প্রসেনজিৎ প্রভৃতি বৌদ্ধধর্মের প্রতি সমর্থন জানান । পরবর্তীকালে সম্রাট অশােক ও কনিষ্ক এই ধর্ম গ্রহণ করে দেশে বিদেশে তা প্রচার করেন । তাছাড়া অন্যান্য রাজাদের পৃষ্ঠপােকতা লাভ করে ও বৌদ্ধধর্ম পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মে পরিণত হয় ।
( 8 ) বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্মের তুলনা : বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে সাদৃশ্য দেখা যায় ।
( ক ) জৈন ধর্ম উভয়েই - প্রায় একই সময়ে পূর্বভারতে বিকাশলাভ করে এবং ব্রাহ্মণ্য ধর্মের প্রতিবাদ রূপেই প্রবর্তিত হয় । আবার উভয় ধর্মের প্রবর্তকগণও ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ভুক্ত ।
( খ ) বৌদ্ধ ও জৈন উভয় ধর্মই বেদের অপৌরুষেয়তায় অস্বীকার করে এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বেও বিশ্বাস করে না , কিন্তু জন্মান্তরবাদ ও কর্মফলবাদে বিশ্বাসী । বৌদ্ধ ও জৈন এই উভয় ধর্মেরই চরম উদ্দেশ্য হল নির্বাণ বা মােক্ষলাভ ।
( গ ) বৌদ্ধ ও জৈন উভয় ধর্মই বর্ণভেদ ও ব্রাত্মণের প্রাধান্য স্বীকার করে না । তারা প্রাণিহত্যা নিন্দা করে এবং অহিংসায় বিশ্বাস করে । তারা উভয়েই সঙ্ঘবদ্ধভাবে বা নীতি সম্মতভাবে সংঘ জীবন যাপনের কথা প্রচার করে ।
তবে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের অনেক ক্ষেত্রে সাদৃশ্য থাকলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য দেখা যায় ।
( ক ) দুই ধর্মের উপাস্য ব্যক্তি ও ধর্মগ্রন্থ সম্পূর্ণ পৃথক ।
( খ ) জৈনগণ তপশ্চর্যা ও কৃচ্ছসাধনের ওপর গুরুত্ব আরােপ করে থাকে , কিন্তু বৌদ্ধধর্ম অনেকাংশেই বাস্তববাদী গৃহীর পক্ষেও তাই বৌদ্ধধর্মের অষ্টাঙ্গিক মার্গ অনুসরণ করা অসম্ভব ছিল না ।
( গ ) জৈনগণ সমস্ত জড় পদার্থেরই প্রাণ আছে বলে বিশ্বাস করে কিন্তু বৌদ্ধগণ তা করে না ।
( ঘ ) জৈনধর্মের ওপর হিন্দুধর্মের প্রভাব কিছুটা বেশি । বৌদ্ধগণ ব্রাত্মণ্য ধর্মের সঙ্গে কোন যােগাযােগ স্বীকার করতে প্রস্তুত ছিলনা , কিন্তু জৈনগণ ব্রাত্মণ্যদের কোন কোন দেব দেবীর পূজা করে থাকে এবং বাস্তব ক্ষেত্রে বর্ণভেদকে কিছুটা মেনে চলে । ফলে বৌদ্ধধর্মের পক্ষে ব্রাত্মণ ধর্মের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের স্বতন্ত্র বজায় রাখা সম্ভব হয় কিন্তু জৈন ধর্ম ধীরে ধীরে পুণরায় ব্রাত্মেণ্য ধর্মের প্রভাবধীন হয়ে পড়ে ।