বৌদ্ধ ধর্মের মূলনীতিগুলাে কি ? কেন এই ধর্মমত এত জনপ্রিয় হয়ে ছিল ?

অনাস পাস ইতিহাস honours pass general history questions answers প্রশ্নোত্তর বৌদ্ধ ধর্মের মূলনীতিগুলাে কি কেন এই ধর্মমত এত জনপ্রিয় হয়ে ছিল boudho dhormer mulnitigulo ki keno ai dhormomot ato jonopriyo hoyechilo questions answers


উত্তর : (১ ) গৌতম বুদ্ধ : হিমালয়ের পাদদেশে নেপালের তরাই অঞ্চলে কপিলাবস্তু নামে শাক্য বংশীয় ক্ষত্রিয়দের একটি ক্ষুদ্রগণতান্ত্রিক রাজ্য ছিল । বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক সিদ্ধার্থ বা গৌতম ছিলেন এই রাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধান শুদ্ধোধনের পুত্র । আনুমানিক ৫৬৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন । বাল্যকাল থেকেই গৌতম সংসারের প্রতি উদাসীন ছিলেন । সংসারের প্রতি গৌতমের আকর্ষণ বৃদ্ধি করার জন্য রাজা শুদ্ধোধন গােপা বা যশােধরা নামে এক সুন্দরী কন্যার সঙ্গে পুত্রের বিবাহ দেন । কয়েক বছর পরে গৌতমের পুত্র বাহুল জন্মগ্রহণ করে । কিন্তু রাজপ্রাসাদের বিলাস বহুল জীবন যাত্রা গৌতমকে আকর্ষণ করতে পারেনি । জরা , মৃত্যু, রােগ , পার্থিব দুঃখ কষ্টের হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করা যায় এই প্রশ্ন তাকে ব্যাকুল করে তােলে । অবশেষে এই সব প্রশ্নের উত্তর লাভের আশায় একদিন গভীর রাতে গােপনে তিনি সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন । বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসে এই ঘটনা মহাভিনিষ্কমণ নামে পরিচিত । 


গৃহত্যাগের পর গৌতম বিভিন্ন সন্ন্যাসীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে সত্যের সন্ধানে ব্রতী হন । নানাভাবে যােগাভ্যাস , কৃচ্ছসাধন প্রভৃতি প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করেও তিনি অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে ব্যর্থ হন । ফলে ব্রাত্মণ্য ধর্মের নীরস আচার অনুষ্ঠানের প্রতি তিনি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওঠেন । পরিশেষে তিনি গয়ার নিকট ধ্যানে নিমগ্ন হন এখানেই তিনি বােধি বা দিব্যজ্ঞান লাভ করেন । দিব্যজ্ঞান লাভ করার পর তিনি বুদ্ধ অর্থাৎ পরমজ্ঞানী বা তথাগত নামে পরিচিত হন । পরমজ্ঞান লাভ করার পর গৌতমবুদ্ধ বারানসীর নিকট সারনাথে এসে তার নতুন ধর্মপ্রচারে ব্রতী হন । সেখানে ‘পঞভিক্ষু ’ নামে পরিচিত শিষ্যদের তিনি উপদেশ বিতরণ করেন । এই ঘটনা বৌদ্ধ ইতিহাসে ‘ধর্মচক্র প্রবর্তন’ নামে খ্যাতিলাভ করে । এই সময় তিনি যে মহান সত্য প্রচার করেন তা ‘চতুরার্যসত্য’ নামে পরিচিত ।  আর্যসত্য হল সত্যে উপনীত হওয়ার এবং চরম আনন্দলাভের বাস্তবানুগ পন্থা । চারটি আর্যসত্য হল ( ক ) জগতে দুঃখ কষ্ট আছে  ( খ ) দুঃখ কষ্টের কারণ আছে  (গ ) দুঃখের নিবৃত্তি আছে এবং ( ঘ ) নিবৃত্তির পথ আছে । 


সারনাথে ধর্মপ্রচারের পর দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে বিহার ও অযােধ্যায় গৌতম বুদ্ধ তার বাণী প্রচার করেন । তিনি ‘সঙ্ঘ’ নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে তার ধর্মপ্রচারকে সংগঠিত রূপ দেন । অবশেষে ৮০ বছর বয়সে আনুমানিক ৪৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি গােরক্ষপুরের নিকট কুশীনগরে দেহরক্ষা করেন । বৌদ্ধ ইতিহাসে এইঘটনা মহাপরিনির্বাণ নামে অভিহিত হয় । 



( ২ ) বৌদ্ধধর্মমত : বৈদিক যাগযজ্ঞে ধর্মীয় ক্রিয়াকাণ্ডে বুদ্ধদেবের কোন আস্থা ছিল না । তিনি ঈশ্বর, আত্মার স্বরূপ, দেবদেবী প্রভৃতি সম্পর্কে কোন আলােচনা করেন নি । কিন্তু সংসারের দুঃখ কষ্ট থেকে মানুষ কি করে মুক্তি পেতে পারে তাই ছিল বুদ্ধদেবের প্রধান লক্ষ্য । তার মতে অজ্ঞতা ও আসক্তি মানুষের দুঃখ কষ্টের মূল কারণ । অজ্ঞতা বা জ্ঞানের অভাবের জন্য পার্থিব বস্তুর ওপর আসক্তির ফলে মানুষের দুঃখ কষ্টের শেষ হয় না । 



কিন্তু বুদ্ধদেব হিন্দুদের মতাে কর্মফলবাদ ও জন্মান্তর বাদে বিশ্বাস করতেন । তাঁর মতে মানুষ নিজ নিজ কর্মফল অনুসারে জন্মগ্রহণ করে এবং কৃতকর্মের ফল ভােগ করে । সুতরাং নির্বাণ লাভ বা পুনর্জন্ম থেকে নিষ্কৃতি পাওয়াই মানুষের প্রধান ও চরম উদ্দেশ্য হওয়া প্রয়ােজন । আত্মার মুক্তিকে তিনি নির্বাণ নামে অভিহিত করেন । সৎকার্যের দ্বারা জ্ঞান অর্জন করে আত্মার উন্নতি সাধন করলেই এই নির্বাণ লাভ করা সম্ভব । 


আসক্তির অবসান ও আত্মার উন্নতি সাধনের জন্য বুদ্ধদেব আটটি পথ বা নীতি অনুসরণ করার নির্দেশ দেন । সেগুলাে অষ্টাঙ্গিক মার্গ নামে পরিচিত । এই অষ্টাঙ্গিক মার্গ হল — সৎ সঙ্কল্প , সৎ -চেষ্টা , সৎ কর্ম , সৎ স্মৃতি , সৎ জীবন , সৎ দৃষ্টি ও সৎ ধ্যান । তাছাড়া তিনি আরও কতগুলাে নৈতিক উপদেশ দেন । সেগুলােও বৌদ্ধধর্মের অঙ্গ হিসাবে বিবেচিত হয় । হিংসা ত্যাগ করা , মিথ্যা না বলা , অর্থলিপ্সা ত্যাগ করা প্রভৃতি নীতির ওপর তিনি খুব গুরুত্ব আরােপ করেন । 


বুদ্ধদেব বেদের অপৌরুষেয়তায় বিশ্বাস করতেন না । ব্রাক্ষ্মণের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করতেন না এবং শ্রেণীভেদ মানতেন না । তিনি ছিলেন বাস্তববাদী ।এক দিকে ব্রাত্মণ্য ধর্মের আচারসর্বস্ব জটিল যাগ -যজ্ঞ, উৎসব - অনুষ্ঠানের পথ তিনি ত্যাগ করেন । অপর দিকে তিনি জৈনদের কঠোর কৃচ্ছ্রসাধনের মাঝামাঝি একটি পথ বা ‘মধ্যপন্থা’ গ্রহণ তাছাড়া বুদ্ধদেবের মতবাদের একটি সামজিক দিকও ছিল । জাতিভেদ প্রথা তিনি মানতেন না বলে ব্রাত্মণ ছাড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ে মধ্যে তার মতবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে । 


( ৩ ) বৌদ্ধধর্মের জনপ্রিয়তার কারণ : বুদ্ধদেব তার ধর্মকে বহুল পরিমানে বাস্তববাদী করে তােলার চেষ্টা করে ছিলেন এবং নির্বাণ লাভের জন্য একটি মধ্যপন্থা প্রদর্শন করেছিলেন । হিন্দুদের জটিল যাগ - ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে তিনি অস্বীকার করতেন । আবার জৈনদের কঠোর কৃচ্ছসাধন ও আত্মপীড়নে তিনি বিশ্বাস করেন না । ভােগ ও কৃচ্ছসাধনের মাঝামাঝি বুদ্ধদেব কর্তৃক নির্দিষ্ট পথ জনসাধরণের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব ছিল । সংক্ষেপে বলা যায় যে বৌদ্ধধর্ম কোন নতুন ধর্ম নয় । এই মতবাদ পবিত্র জীবনধারণের প্রতি নির্দেশ মাত্র । বৌদ্ধসাহিত্যে গ্রন্থ জাতক থেকেও জানা যায় যে । বুদ্ধদেব নিজেই এই রূপ মত প্রকাশ করেছিলেন যে , ধর্ম বলতে কতকগুলাে প্রার্থনা , স্তোত্র বা আনুষ্ঠানিক ক্রিয়াকাণ্ড বুঝায় না । ধর্মপবিত্র জীবন যাপন ও জীবের মুক্তি বুঝায় । প্রকৃত পক্ষে প্রচলিত ব্রাত্মণ্য ধর্মের দোষ একটি দূর করে তিনি প্রাচীন ও মূলবৈদিক ধর্ম উদ্ধার করার চেষ্টা করেন । সেজন্য স্বামী বিবেকানন্দ বৌদ্ধ ধর্মকে হিন্দুধর্মের বিপ্লবী সন্তান বলে অভিহিত করেন । ঐতিহাসিক রিস ডেভিডস্ বুদ্ধদেবকে হিন্দুধর্মের সংস্কারক আখ্যা দেন । 


বৌদ্ধধর্মের সাফল্য ও জনপ্রিয়তার আরও কয়েকটি কারণ দেখা যায় । প্রথমত , বৈদিক ধর্মের অবনতির যুগে বুদ্ধদেব প্রচারিত বৌদ্ধধর্মে উপনিষদের সহজ ,সরল অনেক চিন্তাধারাই স্থান পায় । সহজ  সরল এই চিন্তাধারার প্রতি অনেকেই আকৃষ্ট হয় । তাছাড়া প্রথমদিকে বৌদ্ধধর্ম সমস্ত রকম ব্রাত্মণ আচার অনুষ্ঠন বাদ দেয় । কিন্তু পরে শাস্ত্র বহির্ভূত অথচ জনপ্রিয় দুটি প্রথা বৃক্ষপূজা ও সমাধিস্তুপ নির্মাণ বৌদ্ধরাও গ্রহণ করলে সাধারণ মানুষের পূজাপদ্ধতির সঙ্গে বৌদ্ধধর্মের সংযােগ স্থাপিত হয় । 

দ্বিতীয়ত , ভারতের যে সমস্ত অঞ্চলে ব্রাত্মণ্য ধর্মের ভিত্তি দুর্বল ছিল , সেই সব অঞ্জলে বৌদ্ধধর্ম ব্যাপক সমর্থন লাভ করে । সেজন্য মগধে বৌদ্ধধর্ম দ্রুতসাফল্য অর্জন করে । 


তৃতীয়ত , বৌদ্ধধর্ম জাতিভেদ মানত না সকল মানুষের সমান দৃষ্টিতে দেখতে । ধর্মপ্রচারকগণ কেবল তত্ত্বকথার অবতারণ না করে সহজ সরল ও সকলের বােধগম্য পালিভাষায় উপদেশ দিত । 


চতুর্থত , বৌদ্ধধর্মে সঙ্গের স্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।ভিক্ষুকের জীবনযাত্রা ছিল সকলের আদর্শস্থানীয় । বৌদ্ধসঙ্ঘগুলাে গঠিত হত গণতান্ত্রিক আদর্শের ওপর ভিত্তি করে । তাছাড়া বৌদ্ধ সঙ্ঘগুলাের শৃঙ্খলবােধ ও সাংগঠনিক সংহতি থাকায় বৌদ্ধধর্মের জনপ্রিয়তা ও প্রসারলাভ সহজ হয়ে ওঠে । বৌদ্ধমঠ স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার প্রসারও বেড়ে যায় । কারণ শিক্ষাদান তখন আর ব্রাত্মণদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকল না । সমাজের সর্বস্তর থেকে সন্ন্যাসী গ্রহণের ফলে শিক্ষা সমাজের সবশ্রেণীর মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে । গোঁড়া ব্রাত্মণরা যেখানে মেয়েদের ক্রমশ নানা বাধা - নিষেধের মধ্যে বেঁধে ফেলেছিলেন । বৌদ্ধরা সেখানে নারী সন্ন্যাসীনীদের জন্য আলাদা মঠ স্থাপন করে স্ত্রী স্বাধীনতার এক বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিলেন । 


পঞ্চমত , অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ও শহরাঞ্চলের বিকাশ ঘটায় সমাজে বৈশ্য শ্রেণীর প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায় । বৈশ্যগণ ব্রাত্মণ ও ক্ষত্রিয়ের প্রতিপত্তি খর্ব করার উদ্দেশ্যে ব্রাত্মণ্যবাদের পালটা জবাব হিসাবে বৌদ্ধধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয় । বৈশ্য সম্প্রদায়ের সমর্থন লাভ করায় বৌদ্ধধর্ম একটি গতিশীল ধর্মে পরিণত হয় । শূদ্র সম্প্রদায়ও ব্রাত্মণ সম্প্রদায়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বৌদ্ধধর্মের আশ্রয় গ্রহণ করে । 

যষ্ঠত , ব্রাত্মণ্যধর্মের বিরুদ্ধে দেশ জোড়া অসন্তোষ ও বৌদ্ধধর্মের অন্তর্নিহিত শক্তি এই নতুন ধর্ম বিস্তারের মূল লক্ষ্য হলেও রাজন্যবর্গকে শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে তার কোন আপত্তি ছিল না । মগধের রাজা বিম্বিসার , কোশলের রাজা প্রসেনজিৎ প্রভৃতি বৌদ্ধধর্মের প্রতি সমর্থন জানান । পরবর্তীকালে সম্রাট অশােক ও কনিষ্ক এই ধর্ম গ্রহণ করে দেশে বিদেশে তা প্রচার করেন । তাছাড়া অন্যান্য রাজাদের পৃষ্ঠপােকতা লাভ করে ও বৌদ্ধধর্ম পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মে পরিণত হয় । 

( 8 ) বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্মের তুলনা : বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে সাদৃশ্য দেখা যায় । 

( ক ) জৈন ধর্ম উভয়েই - প্রায় একই সময়ে পূর্বভারতে বিকাশলাভ করে এবং ব্রাহ্মণ্য ধর্মের প্রতিবাদ রূপেই প্রবর্তিত হয় । আবার উভয় ধর্মের প্রবর্তকগণও ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ভুক্ত । 


( খ ) বৌদ্ধ ও জৈন উভয় ধর্মই বেদের অপৌরুষেয়তায় অস্বীকার করে এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বেও বিশ্বাস করে না  , কিন্তু জন্মান্তরবাদ ও কর্মফলবাদে বিশ্বাসী । বৌদ্ধ ও জৈন এই উভয় ধর্মেরই চরম উদ্দেশ্য হল নির্বাণ বা মােক্ষলাভ । 


( গ ) বৌদ্ধ ও জৈন উভয় ধর্মই বর্ণভেদ ও ব্রাত্মণের প্রাধান্য স্বীকার করে না । তারা প্রাণিহত্যা নিন্দা করে এবং অহিংসায় বিশ্বাস করে । তারা উভয়েই সঙ্ঘবদ্ধভাবে বা নীতি সম্মতভাবে সংঘ জীবন যাপনের কথা প্রচার করে । 


তবে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের অনেক ক্ষেত্রে সাদৃশ্য থাকলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য দেখা যায় । 

( ক ) দুই ধর্মের উপাস্য ব্যক্তি ও ধর্মগ্রন্থ সম্পূর্ণ পৃথক । 

( খ ) জৈনগণ তপশ্চর্যা ও কৃচ্ছসাধনের ওপর গুরুত্ব আরােপ করে থাকে , কিন্তু বৌদ্ধধর্ম অনেকাংশেই বাস্তববাদী গৃহীর পক্ষেও তাই বৌদ্ধধর্মের অষ্টাঙ্গিক মার্গ অনুসরণ করা অসম্ভব ছিল না । 


( গ ) জৈনগণ সমস্ত জড় পদার্থেরই প্রাণ আছে বলে বিশ্বাস করে কিন্তু বৌদ্ধগণ তা করে না । 

( ঘ ) জৈনধর্মের ওপর হিন্দুধর্মের প্রভাব কিছুটা বেশি । বৌদ্ধগণ ব্রাত্মণ্য ধর্মের সঙ্গে কোন যােগাযােগ স্বীকার করতে প্রস্তুত ছিলনা , কিন্তু জৈনগণ ব্রাত্মণ্যদের কোন কোন দেব দেবীর পূজা করে থাকে এবং বাস্তব ক্ষেত্রে বর্ণভেদকে কিছুটা মেনে চলে । ফলে বৌদ্ধধর্মের পক্ষে ব্রাত্মণ ধর্মের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের স্বতন্ত্র বজায় রাখা সম্ভব হয় কিন্তু জৈন ধর্ম ধীরে ধীরে পুণরায় ব্রাত্মেণ্য ধর্মের প্রভাবধীন হয়ে পড়ে ।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন