মুসলিম লিগের লাহাের অধিবেশন ( ১৯৪০ ) মুসলিম লিগের লাহাের প্রস্তাবের ( ১৯৪০ ) গুরুত্ব ?

Clg history questions answers কলেজ প্রশ্নোত্তর মুসলিম লিগের লাহাের অধিবেশন ১৯৪০ মুসলিম লিগের লাহাের প্রস্তাবের ১৯৪০ গুরুত্ব muslim liger lahor adhiveshan ১৯৪০ muslim liger lahor prostaber ১৯৪০ gurutto

উত্তর : ১৯৩৪ খ্রিঃ মহম্মদ আলি জিন্না মুসলিম লিগের সভাপতি নির্বাচিত হন । তাঁর নেতৃত্বে লিগ দ্রুত মান্যতা বিস্তার করে । কিন্তু ১৯৩৭ খ্রিঃ সাধারণ নির্বাচনে লিগ অধিকাংশ আসনে পরাজিত হয় । এই ব্যর্থতা মুসলমান নেতাদের উদ্বিগ্ন করে । জিন্না প্রমুখ উপলব্ধি করেন যে , মুসলমানদের সামনে সাম্প্রদায়িক ভিত্তিক নির্দিষ্ট কর্মসূচি তুলে ধরা আবশ্যিক । অন্যথায় জাতীয় কংগ্রেস ভারতীয় রাজনৈতিক কর্তৃত্বের উপর একচেটিয়া অধিকার কায়েম করবে । 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কালে ভারতীয় রাজনীতি যখন জটিল রূপ ধারণ করেছে , সেই অবস্থায় পূর্ণ সুযােগ নিয়ে ১৯৪০ খ্রিঃ জিন্না ও মুসলিম লীগ দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতে একটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানান । ১৯৪০ খিঃ ২০ মার্চ লাহােরে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগের অধিবেশনে বাংলার প্রধানমন্ত্রী আবুল কাশেম ফজলুল হক বিখ্যাত ‘লাহাের প্রস্তাব’ উপস্থাপন করেন । 

গুরুত্ব : ভারতে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক ও ভারত বিভাগের প্রেক্ষাপটে লাহাের প্রস্তাবের গুরুত্ব অনস্বীকার্য । ড . অমলেশ ত্রিপাঠীর মতে , জিন্না লাহাের প্রস্তাবের মাধ্যমে তখনই পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্রের কথা কল্পনাও করেননি । আসলে তিনি এই প্রস্তাবকে সামনে রেখে ভারতের রাজনীতিতে একটা দর কষাকষি করতে চেয়েছিলেন । এটি ছিল কংগ্রেসের ‘পূর্ণ স্বরাজ’ ও গণপরিষদের ‘অসম্ভব’ দাবির ‘অসম্ভব’ পাল্টা জবাব । আয়েষা জালালের মতে লাহােরে জিন্না কোনাে নির্দিষ্ট প্রস্তাব রাখতে পারেননি । আসলে তার লক্ষ্য ছিল সমস্ত মুসলমান সমাজের একমাত্র মুখপাত্র হিসাবে নিজের ভাবমূর্তি তুলে ধরা । এখানে পাকিস্তানের চেয়ে জিন্নার ব্যক্তিগত ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষাই’ বড়াে হয়ে উঠেছিল । তথাপি লাহাের প্রস্তাব ছিল লিগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ । এই প্রস্তাব ছিল সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষময় পরিণতি । ভারত বিভাগের নির্মম পূর্বাভাস ছিল লাহাের প্রস্তাব ( ১৯৪০ ) ।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন